পশ্চিম ওয়েব
নয়া দিল্লি: ভারতের রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পথে এগোচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যেও বিজেপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে।
এ ছাড়া পাঞ্জাব, গোয়া ও মনিপুর রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে।
পাঞ্জাব আর মনিপুরে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস।
এখনো সব আসনের ফলাফল ঘোষিত হয় নি, কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ টি আসনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৯৭ টি আসনের ট্রেন্ড জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তার মধ্যে ২৮৮ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
সে রাজ্যে বিদায়ী সরকার ছিল যে সমাজবাদী পার্টির। তারা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে নেমেছিল।
সমাজবাদী-কংগ্রেস জোট ৭৩ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
ওই জোটের প্রচারে প্রধান মুখ ছিলেন দুই দলের দুই যুব নেতা - বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এখনও পর্যন্ত যত ভোট গোনা হয়েছে, তার মধ্যে বিজেপি প্রায় ৪০% ভোট পেয়েছে বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
প্রায় দেড় দশক পরে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি।
এই নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ব্যাপক প্রচারাভিযানে নেমেছিলেন।
মোদি যেমন তার উন্নয়নের এজেন্ডা নিয়েই এগিয়েছিলেন প্রচারে, তেমনই রাজ্য সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন তিনি।
নভেম্বর মাসে দেশের চালু নোটের ৮৬% বাতিল বলে ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
৫শ আর এক হাজার টাকার নোট বাতিলের পরে সারা দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
তারপরে এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কোনও নির্বাচনের মুখোমুখি হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির দল।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের ফলাফল জাতীয় রাজনীতিতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই সংসদীয় রাজনীতিতেও বিজেপি-কে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গেল।
সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিজেপি এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নয়।
তাই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের আনা অনেক বিলই সেখানে আটকে যায়।
কিন্তু রাজ্য বিধানসভাগুলিতে নবনির্বাচিত বিজেপি সদস্যদের ভোটে যতজন সংসদ সদস্য রাজ্যসভায় পাঠাতে সক্ষম হবে ওই দলটি, তার ফলে উচ্চকক্ষের সেই সংখ্যার ভারসাম্য বিজেপির অনুকূলে অনেকটাই চলে যাবে।