পশ্চিম ওয়েব
কলকাতা: ধর্ষণ। এ যেন প্রতিযোগিতায় বিষয়। শিশু থেকে তরুণী। স্কুলছাত্রী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া। আবার গৃহবধূ থেকে সন্তানেন জননী। কেউ বাদ পড়ছেন না এ তালিকা থেকে। অপরদিকে পাড়ার মাস্তান থেকে ছাত্র কিংবা রাজনৈতিক নেতাকর্মী। সবাই ধর্ষণে যেন উৎসাহিত হচ্ছেন। কার চেয়ে কে বেশি ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করতে পারে এ নিয়ে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে পুরো ভারত জুড়ে। শুধু ধর্ষণ নয়, গণধর্ষণ। কখনো রাজ্যের চেয়ে কেন্দ্র এগিয়ে। আবার কখনো কেন্দ্রকে টেক্কা দিচ্ছে বিভিন্ন রাজ্য।
বর্ধমানের কালনার সিমলনে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। গুরুতর অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এলাকার চার যুবকের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্তরা পলাতক। চার অভিযুক্তের মধ্যে একজন নাবালক বলে জানা গেছে।
দেশটির পুলিশ, রোববার সন্ধ্যাবেলা বাড়ি থেকে পাড়ার দোকানে চপ কিনতে বের হয়েছিল ওই ছাত্রী। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ শুরু করে। অবশেষে ওই এলাকারই এক বাঁশবাগানে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
বাড়ি এসে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে ওই ছাত্রী জানায়, স্থানীয় চার যুবক রাস্তায় তার মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায় ওই বাঁশবাগানে। সেখানেই চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। প্রথমে ঘটনাটি পরিবার চেপে যেতে চাইলেও সোমবার ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তখনই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। নীল-সহ স্থানীয় চার যুবকের নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও পুলিশ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে দিল্লিতে সোমবার রাস্তার ওপর কুপিয়ে খুন করা হয়েছে এক তরুণীকে। দেখেও এগিয়ে আসেননি কেউ।
ভারতের একটি পত্রিকা মঙ্গলবার বলেছে, ধর্ষণ কি নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়াল এই দেশে? সেখানে বিগত পাঁচ বছরে দেশটিতে ধর্ষণের খণ্ড তালিকায় দেয়া হয়।
এতে ভারতে আলোচিত ছয়টি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে ২০১২ সালে ১৬ ডিসেম্বর চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ ও পরে হত্যার চেষ্টা তুলে ধরা হয়। যা বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
ভারতের ওই গণধর্ষণের খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশেও একইভাবে বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ভারতের ট্রেনে বিএসএস সদস্যরা এক তরুণীকে গণধর্ষণ করার বিষয়টিও বেশ আলোচিত।