দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স পদত্যাগ করেছেন। বেশ কিছু দিন যাবত টেস্ট ক্রিকেটে তার ভবিষ্যত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই গতকাল তিনি ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ক্রিকেটের তিন ফর্মেটেই খেলার ঘোষণাও দেন তিনি। তবে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি নিজ মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলা হচ্ছে না তার। কেননা, এর আগেই শেষ হয়ে যাবে দুই টেস্টের সিরিজ।
গত ছয় বছর যাবত প্রোটিয়া ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ডি ভিলিয়ার্স। তবে গত এক বছর যাবত টেস্ট ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন তিনি। সর্বশেষ মে-জুনে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। এ টুর্নামেন্টের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে তার পরিবর্তে অস্থায়ীভাবে দলের নেতৃত্ব দেন ফাফ ডু প্লেসিস।
বুধবার দেয়া এক বিবৃতিতে ৩৩ বছর বয়সী ডি ভিলিয়ার্স বলেন,‘ গত এক বছরে অনেক কিছুই বলা ও লেখা হয়েছে এবং আমি মনে করছি আমার অবস্থান পরিস্কার করার জন্য এটইি যথার্থ সময়।
‘গত কম বেশি এক বছর যাবত আমি অনেক প্রতিশ্রুতি পুরণের চেষ্টা করেছি। মানসিক ও শারীরিকভাবেই আমি ক্লান্ত বোধ করেছি; আমি ও আমার স্ত্রী সুন্দর দুটি বাচ্চাকে লালন-পালন করছি এবং ২০০৪ সাল থেকে তিন ফর্মেটেই খেলে আসছি।’
‘আমার ক্যারিয়ারকে যতটা সম্ভব দীর্ঘায়িত করতে একটি যথার্থ সূচি বের করতে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একত্রে কাজ করেছি।’
বিশ্রামের সময়ে অনেকের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘এমন কৌশলের কারণে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আমাকে কবে নাগাদ মাঠে পাওয়া যাবে। এমন কথাও বলা হয়েছে যে, আমি দলের চেয়ে নিজকে বড় মনে করি। কোনভাবেই সেটা সত্যি নয়। কখনোই সেটা সত্যি ছিলনা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা সব সময়ই আমার কাছে প্রাধান্য পেয়েছে এবং পাবে।
-এখন সামনে এগোতে হবে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টি-২০ এবং টেস্ট দলের একজন অসাধারণ অধিনায়ক হিসেবে নিজকে প্রমাণ করেছেন ফাফ ডু প্লেসিস। এ বিষয়টি মনে রেখেই আমি ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে জানিয়েছি।’
‘ছয় বছর যাবত দলের নেতত্ব দেয়া একটা গৌরবের বিষয়। কিন্তু এখন সময় এসেছে অন্য কাউকে ওয়ানডে দলটিকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। যিনিই ওয়ানডে অধিনায়ক নির্বাচিত হোক, তার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক এ বিশ্রামের পর সত্যিই অনেক সতেজতা অনুভব করছি। এবার আমি মাঠে নামতে চাই এবং আসন্ন মৌসুম থেকে তিন ফর্মেটেই আমাকে পাওয়া যাবে বলে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলকে জানিয়েছি। প্রোটিয়া দলের প্রয়োজনে তিন ফর্মেটেই নিজকে শতভাগ উজার করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারি।’