জাতীয় ওয়েব
ঢাকা: দেশবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পরস্পরের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্না ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষাই ঈদ দেয়।
“আর এটাই হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির নান্দনিক ঐতিহ্য,” বলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ঈদ সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।”
ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে এবং ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে ঈদ উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার স্ত্রী রাশিদা খানম। রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবর্ধনায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ছিলেন শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে।
ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন মিশরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স বার্নিকাট, ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা, জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবেসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূতরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীব উদ্দিন আহমেদসহ উচ্চ পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সংসদ সদস্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারা বঙ্গভবনে আসেন রাষ্ট্রপতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে।