স্বাস্থ্য ওয়েব
চাঁদপুর: খোলা পরিবেশে কেটে রাখা ফল খেলে মারাত্মক রোগ-ব্যাধিসহ প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। রোগতত্ব ও রোগ নির্ণয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান -আইইডিসিআর-এর গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা গেছে, গত মাসে টাঙ্গাইলে কেটে বিক্রি করা তরমুজ খেয়ে একজনের মৃত্যু ও ১৪ জন অসুস্থ হয়েছেন।
যদিও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কেটে রাখা ফলের প্রতি আকর্ষণ বেশি ক্রেতাদের। তবে মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খোলা পরিবেশে কেটে রাখা যেকোনো ফলই স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কাগমারা গ্রামে গত ১০ এপ্রিল তরমুজ খেয়ে ফাহিম নামের ৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
এলাকাবাসী জানান, ৮ এপ্রিল বাজার থেকে ফাহিমের দাদা একটি তরমুজ কিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খান। এর কিছুক্ষণ পরেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন তারা। পরে সবাইকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুই দিন পর ফাহিমের মৃত্যু হয়।
ঘটনা জানার পর তরমুজটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে গবেষণা চালায় রোগতত্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর। প্রায় এক মাসের গবেষণায় উঠে আসে তরমুজ খেয়ে মৃত্যুর কারণ।
আইইডিসিআর'র পরিচালক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, “তরমুজটা যখন কেনা হয়েছিল তখন সেটা কাটা ছিল। এর মধ্যে ব্যাক্টরিয়া পাওয়া গেছে। যার কারণে ডায়রিয়া হয়।”
এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কেটে ফল বিক্রি করলে মুনাফা বেশি হয়। আর মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। -ওয়েবসাইট