চাঁদপুর ওয়েব ডেস্ক
চাঁদপুর: চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে ইলিশের ছড়াছড়ি। তবে অনেক ইলিশ মাছ একেবারেই খাবার অনুপযোগী। যার জন্যে মৎস্য ব্যবসায়ীরা ভিন্ন জেলা থেকে লোক ভাড়া করে চাঁদপুর মাছঘাটে এনেছে পচা ইলিশ মাছ কেটে লবণজাত করার জন্যে। ভাড়া করে আনা লোকজন দিবারাত্রি মাছ কাটা আর লবণজাত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। প্রতিদিন এরা শত শত মণ পচা ইলিশ মাছ কেটে লবণ দিচ্ছে। আর এ পচা ইলিশ লবণজাত করতে মাছ কাটার সময় মাছের ভেতর থেকে ডিম ছাড়িয়ে আলাদা করতে দেখা যায়। এসব ইলিশের ডিম বড় সাইজের প্লাস্টিকের বাক্সভর্তি করে। যাতে নষ্ট হয়ে না যায়। সেজন্যে বরফের মাঝে রেখে দেয়া হচ্ছে।
ক’জন মাছ ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করলে তারা জানান, ইলিশের মূল্য কম থাকলে ডিমের দাম অনেক বেশি। যে ইলিশ মাছ ৫শ’ থেকে এক/দেড় হাজার টকায় কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, সেসব ইলিশের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা কেজি দরে। চাঁদপুরের মানুষ ইলিশের ডিম না কিনলেও বহির্বিশ্বে ইলিশের ডিমের কদর রয়েছে।
চাঁদপুর মাছঘাটে যারা ভিন্ন জেলা থেকে এসে পচা মাছ কেটে লবণজাত করছে তারা জানায়, চাঁদপুরের মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিকের বাক্সভর্তি ডিমগুলো প্রথমে চট্টগ্রামের সিফুড কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ২ হাজার টাকা কেজি দরে পাইকারিভাবে বিক্রি করে থাকে। প্রতিটি বাক্সে আড়াই কেজি ইলিশের ডিম ধারণ করে। বক্সের মূল্য পড়ে ৫ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম থেকে এ ডিমগুলো প্রক্রিয়াজাত করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করে থাকে। সেখানে ইলিশের ডিমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ইলিশ মাছের চেয়ে ডিমের কদর খুব বেশি।
জানা যায়, চাঁদপুর মাছঘাট থেকে ইলিশের ডিম চট্টগ্রামে নেয়া হলে তা মিয়ানমার, বার্মা পর্যন্ত চলে যায়। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলকা দিয়ে এ ইলিশের ডিম ভারতে পাচার করা হয়। ইলিশের ডিম প্রক্রিয়াজাত করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করার কারণে সেসব দেশে বাংলাদেশের রূপালী ইলিশের রাজধানী বলে খ্যাত চাঁদপুরের সুনাম রয়েছে।