চাঁদপুর ওয়েব ডেস্ক
চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চাঁন্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুরে মোবাইল ফোনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃত্তরা। এ হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করায় আসামিরা বাদিকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের বাংলাবাজার ভূঁইয়া বাড়ির ফজলুল হক ভূঁইয়ার ছেলে মুনছুরের মোবাইল গত মঙ্গলবার পাশের বাড়ির বখাটে যুবকরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মুনছুর তার মোবাইল ফেরত চাইলে মঙ্গলবার রাত ৯টায় তার বাড়ির সামনে আলী আহাম্মদ বারী কবিরাজের ইঙ্গিতে খলিল জমাদারের ছেলে রুবেল (২২), লোকমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২১), লতিফ খাঁনের ছেলে বাচ্চু খাঁন (৩৫) ও সফু (২০) এসে মারধর শুরু করে। এসময় সে চিৎকার করলে হামলাকারীরা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে মুনছুরের মাথায় কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বাড়ির মানুষ খবর পেয়ে রাস্তার পাড় থেকে আহতবস্থায় মুনছুরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত মুনছুরের বড় ভাই বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে এসআই ওনুপ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে বাখরপুর গ্রামে অভিযান চালায়।
আহত মুনছুরের ভাই বিল্লাল হোসেন ভূ্ইঁয়া জানায়, বাখরপুরের আলী আহাম্মদ বারী কবিরাজের কাছ থেকে কিছু সম্পত্তি বাবা ফজলুল হক ভূইয়ার ক্রয় করে। সম্পত্তির পুরো টাকা দেওয়ার পরেও সে দলিল করে না দেওয়ায় তাকে বহুবার বলা হয়েছে। এ নিয়ে সোমবার তার সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনায় আলী আহাম্মদ বারী কবিরাজ বখাটে যুবকদের লেলিয়ে দেয়। পরে মঙ্গলবার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার পর মুনছুরের মাথায় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরে পুলিশ সুপার সামসুন্নাহারের নির্দেশে এসআই অনুপ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে অভিযান চালায়। এসআই অনুপ আসামিদের পাওয়ার পরেও তাদের আটক না করেও তাদের সাথে সমঝোতা করে সেখান থেকে ফিরে আসে। পরে আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। আসামিদের ভয়ে এখন ঘর ছেড়ে পরিবারের সবাই বাহিরে অবস্থান করছে।